হোম রাজনীতি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পাচ্ছে যে সব বিষয়

রাজনীতি ডেস্ক:

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের স্লোগান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ইশতেহার। প্রাধান্য পাবে সুশাসন, কর্মসংস্থান, সুষম উন্নয়ন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগে প্রত্যাশার চাপ বেশি, তাই ইশতেহারে থাকতে হবে তার প্রতিফলন। থাকতে হবে বৈশ্বিক বাস্তবতায় অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।

টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার পর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে ‘দিন বদলের সদন’, ২০১৪ সালে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ সব শেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’র পর এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, ইশতেহারের প্রথমভাগে থাকবে গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। দ্বিতীয় অংশে আসছে পাঁচ বছরের অঙ্গীকার আর শেষ ধাপে থাকবে দীর্ঘ মেয়াদের রূপরেখা।

গুরুত্ব দেয়া হবে সুশাসন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের পাশাপাশি থাকবে কৃষি আধুনিকীকরণ। এ ছাড়া কর্মসংস্থান পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব।

এবারের ইশতেহারে এই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ।

চলমান মেগা প্রকল্পগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাসময়ে শেষ করার পরিকল্পনা থাকবে ইশতেহারে। এ ছাড়া অবকাঠামো খাতে থাকছে সুষম উন্নয়নের রূপরেখা।

রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এ পাঁচ বছরের পরিকল্পনায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। ডিসেম্বরের শেষ দিকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন স্মার্ট বাংলাদেশের নতুন ইশতেহার।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদের চালকের আসনে থাকায় প্রত্যাশার বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে দলটির ওপর। তাই ইশতেহারে থাকতে হবে তার প্রতিফলন। এ ছাড়া অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ঘুরে দাঁড়ানোর পথটাও তুলে ধরার তাগিদ তাদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ বেড়েছে। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটাকে কীভাবে সমাধান করবে, সে বিষয়ে একটা সুস্পষ্ট একটা বার্তা থাকা উচিত।

শুধু পাঁচ বছর নয় পাশপাশি দীর্ঘ মেয়াদে দলটির পরিকল্পনার ছোঁয়া ইশতেহারে দেখতে চান বিশ্লেষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন