স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২৫ আইপিএল মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শুধু খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ খরচ করেছে ১০০ কোটির বেশি রুপি। এই বিশাল ব্যয়ের প্রতিদান তারা পেয়েছে গতকাল রাতে। ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে দলটি, যার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ২০ কোটি রুপি। অন্যদিকে, প্রায় একই পরিমাণ ব্যয়ে দল গড়া পাঞ্জাব কিংস রানার্সআপ হয়ে পেয়েছে ১৩ কোটি রুপি।
আইপিএল ফাইনালের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছেন কানাডার বিখ্যাত র্যাপার ড্রেকও। ফাইনালে বেঙ্গালুরুর জয়ের ওপর বাজি ধরে তিনি জিতেছেন ১১ কোটি রুপিরও বেশি। ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেক ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে জানান, তিনি বেঙ্গালুরুর জয় নিয়ে বাজি ধরেছেন। পোস্টটির শিরোনাম ছিল বেঙ্গালুরুর পরিচিত স্লোগান, ‘এ সালা কাপ নামদে’।
ড্রেক ক্রিপ্টো-বেটিং প্ল্যাটফর্ম স্টেক–এ বেঙ্গালুরুর পক্ষে বাজি ধরেন সাড়ে সাত লাখ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৪১ লাখ রুপির সমান। সেই বাজিতে বেঙ্গালুরুর জন্য অড ছিল ১.৭৫। ফলে ফাইনালে বেঙ্গালুরু ৬ রানে জেতায় ড্রেক পান প্রায় ১৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় টাকায় ১১ কোটির বেশি।
ফাইনাল শেষে বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা আইপিএলের ট্রফি হাতে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
আইপিএলের ট্রফি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উল্লাস বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের। ছবি: সংগৃহীত
ড্রেকের বাজি ধরা নতুন কিছু নয়। বরং বিভিন্ন বড় খেলায় বাজি ধরার জন্য তিনি বেশ পরিচিত। তবে সব সময় তার ভাগ্য সহায় হয় না। যেমন ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি বাজি ধরেছিলেন আর্জেন্টিনা নির্ধারিত ৯০ মিনিটে জিতবে—কিন্তু ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে, ফলে ড্রেক হারান ১০ লাখ মার্কিন ডলার। আবার কোপা আমেরিকায় কানাডা-আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে নিজের দেশের পক্ষে বাজি ধরে হারেন আরও তিন লাখ ডলার।
তবে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ড্রেকের ভাগ্য বেশ অনুকূলে। ২০২৪ আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে বাজি ধরে তিনি জিতেছিলেন আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের পক্ষে বাজি ধরে জিতেছিলেন ৫ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড।
ড্রেককে ঘিরে আরেকটি জনপ্রিয় আলোচনা হলো ‘ড্রেক কার্স’। অনেক সময় দেখা গেছে, তিনি যে দলের জার্সি পরেন বা কারও সঙ্গে ছবি তোলেন, সেই দল বা খেলোয়াড় কিছুদিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরে যায়। এই প্রবণতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ঘিরে ট্রলেরও শেষ নেই। তবে এবারের আইপিএল ফাইনালে বাজিতে জয় এনে দিয়ে ড্রেক যেন নিজের ‘অভিশাপের ইতিহাস’ কিছুটা হলেও মুছে দিয়েছেন।