হোম এক্সক্লুসিভ আইনমন্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ২১৮ গুণ

আইনমন্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ২১৮ গুণ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 94 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

দশ বছরের ব্যবধানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের ২১৮ গুণ নগদ টাকা বেড়েছে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিল বলে উল্লেখ করেন। বর্তমানে তার নগদ আছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণও বেড়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কসবা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এজন্য নির্বাচন কমিশনে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন।

হলফনামা থেকে জানা যায়, আনিসুল হকের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার হিসেবে তিনি সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশের শেয়ার মূল্য উল্লেখ করেছেন ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার নিজ নামে কোনো শেয়ার ছিল না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯৯২ টাকা এবং ১০ বছর আগে ছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বৈদেশিক মুদ্রা আছে ১৪ হাজার ৯৩ দশমিক ৫৮ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৮ টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় এ খাতে কোনো বিনিয়োগ ছিল না। একাদশে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করেন।

আইনমন্ত্রীর নিজ নামে চারটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে, যার মূল্য ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গত পাঁচ বছরে তার স্বর্ণালংকার বাড়েনি। একাদশের হলফনামায় তার কাছে ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন। এখনো তাই আছে। এ ছাড়া তার একটি টেলিভিশন, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের খাট, চেয়ার ও ড্রেসিং টেবিল এবং ৭.৬৫ বোরের একটি পিস্তল রয়েছে।

হলফনামায় নিজেকে সিনিয়র আইনজীবী ও মন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। ১০ বছর আগে কৃষি খাত (মৎস্য) থেকে বার্ষিক কোনো আয় ছিল না। একাদশের হলফনামায় এ খাতে বার্ষিক আয় ৩ কোটি টাকার বেশি দেখিয়েছিলেন। এ বছর এই খাতে আয় দেখিয়েছেন ৪৩ লাখ টাকা। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যাংক ও এফডিআরের সুদ এবং কৃষি ও মৎস্য খাত থেকে। এই দুটি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় হয় ৮৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ টাকা।

১০ বছর আগে কোনো সঞ্চয়পত্র, মৎস্য খামার, অকৃষিজমি ও স্বর্ণ ছিল না। বর্তমানে তার প্রয়াত মায়ের নামে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকার সঞ্চয়পত্র, তিনটি পৈতৃক মৎস্য খামার, ৩২ লাখ টাকার অকৃষি জমি ও ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। তবে তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় নেই বলে তিনটি হলফনামাতেই উল্লেখ রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে, যার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। দশম ও একাদশের হলফনামায়ও একই পরিমাণ কৃষিজমির কথা উল্লেখ করেন। রাজধানীর পূর্বাচলে একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ টাকা। এ ছাড়া বনানীতে ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি, এবং ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন