হোম অন্যান্যসারাদেশ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও গ্রাম বাসীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে হাজার হাজার গ্রামবাসী। তারা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের গাংনিয়া ফুটবল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ থেকে সুমনকে বহিস্কার ও তদন্ত ছাড়াই গ্রামবাসীদের নামে হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ সময় সমাবেশ থেকে ‘গাংনিয়া লাবন্যবর্তী খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ কর, করতে হবে, গ্রামবাসীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর করতে হবে’ এই শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে পুরো এলাকা। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ চলাকালে বক্তরা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন ভোমরা রোডের ট্রাক এক্সেল কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসপেকটা নামক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রামের শত শত মানুষের জান-মালের হুমকির মূখে ঠেলে দিয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বালু সরবরাহের জন্য গাংনিয়া লাবন্যবর্তী খাল থেকে ড্রেজারম্যাশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলোনের পায়তারা করে আসছিল।

গ্রামবাসীরা বাঁধা দিলে গত ৯ আগষ্ট গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গ্রাম্য বৈঠকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন উপস্থিত ইউপি সদস্য মোশারাফ হোসেন নিউট্রনসহ ৪ শতাধিক গ্রামবাসীর সামনে ওই খাল থেকে বালি উত্তোলন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই বটতলা লাবণ্যবতি খাল থেকে বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদি, ড্রেজার মেশিন কোন কিছুই অপসারণ না করে ১৫ আগষ্ট ইউনিয়নবাসীর নামে ড্রেজার মেশিন ভাংচুর, দশ লক্ষ টাকার ২০০ পিস পাইপ লুটপাট, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাব কনটাকট্রার আল-আমিনের ছেলের পকেট থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া ও তার বাম হাতের হাড়ভাঙ্গা জখমসহ লোকজনদের লাঠি সোটা ও লোহার রড় দিয়ে মারপিট করে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বক্তরা আরও বলেন এই ঘটনায় সদর থানার ওসি তদন্ত বিশ্বজিৎ কোন তদন্ত ছাড়ায় কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটক করে কোট হাজতে প্রেরণ করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ একজন থানার কর্মকর্তা কোন তদন্ত ছাড়ায় কিভাবে একটি কল্প-কাহিনী ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজানো হয়রানি মূলক মামলা রেকর্ড করলেন।

আলিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোশারাফ হোসেন নিউট্রট এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরদার, সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম বাবু, ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম লাকি প্রমূখ। বক্তরা এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সুমন হোসেনকে দল থেকে বহিস্কার ও গ্রামবাসীদের নামে হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রতাহারের জোর দাবী জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন