খেলাধূলা ডেস্ক :
আগামী বছরের ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ১৮ ডিসেম্বর।
এদিকে, কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অফসাইড নিয়ে বিতর্ক এড়াতে নতুন প্রযুক্তি আনতে যাচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। সংস্থাটির চিফ রেফারিং অফিসার পিয়েলুইজি কলিনা সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রেফারি ও লাইন্সম্যানদের সিদ্ধান্ত আরও নির্ভুল করতে আধা-স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অফসাইড নির্ধারণের জন্য ১০ থেকে ১২টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, ভিডিও ফিড থেকে ফুটবলারদের হাত-পায়ের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি যাবে ম্যাচ কর্মকর্তাদের কাছে। সেই তথ্য দেখে মাঠের খেলোয়ারদের কেউ অফসাইডে ছিলেন কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে তৎক্ষণাৎ।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, ১০ থেকে ১২টি ক্যামেরা মিলে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার প্রতি খেলায়ারের সর্বোচ্চ ২৯টি ডেটা পয়েন্ট সংগ্রহ করবে।
ফুটবলের মাঠে কোনো খেলোয়ারের কাছে বল পাস করার সময় ওই খেলোয়ার ও গোল লাইনের মাঝে বিপরীত দলের গোলকিপারসহ দুইজনের কম প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়ার থাকলে অফসাইড হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলোর একটি এটি; অফসাইডের জেরে গোল বাতিল হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে এই নিয়মটি।
অফসাইড প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিপাকে পড়েন মাঠের রেফারিরাও। অফসাইড বিতর্কে আরও রসদ জুগিয়েছে ‘ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি’ বা ভিএআর প্রযুক্তি।
যদিও ফিফার চিফ রেফারিং অফিসার পিয়েলুইজি কলিনা বলেন, ‘ভিএআর ফুটবলে অনেক ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে এবং অনেক বড় ধরনের ভুল এখন কমে এসেছে। তবে এখনো অনেক কিছু আছে যেগুলো আরও উন্নত করা যায়। এরমধ্যে অন্যতম হল অফসাইড।