জাতীয় ডেস্ক :
অনলাইনে বিউটি পার্লার সেবা অর্ডার করে বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।
ডিসি আজিমুল বলেন, ধর্ষণের শিকার বিউটিশিয়ান নারী রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেখানে তিনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়ালসহ বিউটি পার্লারের সেবা দিতেন। পেজে দেয়া নম্বরে গত ১১ অক্টোবর মেয়ে কণ্ঠে সেই নারীকে ফোন দেয়া হয়। জানানো হয়, শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। সাভার থেকে সে বিউটিশিয়ান শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। রাস্তায় থাকতেই একটি ছেলে কণ্ঠে (রিয়াদ) তার অবস্থান সম্পর্কে বারবার জানতে চাওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর সেই নারীকে রিয়াদের শুক্রাবাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় খালি বাসায় রিয়াদ তার বন্ধু সিয়াম ও তার আরেক বন্ধু জিতু মিলে সেই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে দেয় তারা। ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে উল্লেখ করে তেজগাঁওয়ের ডিসি বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। গ্রেফতার রিয়াদ ও সিয়াম সরাসরি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ধর্ষণের সঙ্গে তাদের আরেক বন্ধু জিতুও সরাসরি জড়িত।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ দিতে প্রথমে ধানমন্ডি থানায় যান। কিন্তু ঘটনাস্থল ধানমন্ডি থানার অধীন না হওয়ায় পরে শেরেবাংলা নগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শেরেবাংলা থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজন পলাতক।
অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে উল্লেখ করে বিভাগের পুলিশ কমিশনার বলেন, বাসা–বাড়িতে যে কোনো সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক এবং সেবাদানকারী ব্যক্তিদের আরও সতর্ক হতে হবে।