হোম অর্থ ও বাণিজ্য অধিকাংশ ফলের দাম কমেছে, বেড়েছে কলা ও ডাবের

অধিকাংশ ফলের দাম কমেছে, বেড়েছে কলা ও ডাবের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 38 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজার এবং আড়তে দেশি ফলের দাম কমেছে, খুচরা বাজারেও এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। তবে কলা ও ডাবের দাম বেড়েছে। গরমে তরমুজসহ বেশ কিছু ফলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, স্লুইচগেটসহ বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

আড়তদাররা বলছেন, ফলন ভালো হওয়ায় দেশি ফলের দাম কমছে। রমজানেও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গরম বাড়লে ফলের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

উত্তরার স্লুইচগেট সংলগ্ন বিসমিল্লাহ পাইকারি ট্রাস্ট কাঁচাবাজারে দেখা যায়, ধরনভেদে বরইয়ের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। থাই-আপেল বরই ৪০ থেকে ৭০ টাকা, নারকেলি বরই ৫০ থেকে ৮০ টাকা এবং বল সুন্দরী ৪০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি থাই পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং কাজি পেয়ারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এখনও ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পেয়ারার মতো আনারসের দাম না কমলেও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকা। মানভেদে পাকা পেঁপে পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৯০ টাকা।

এদিকে কলার দামে কিছুটা উত্তাপ ছড়াচ্ছে। মানভেদে সব ধরনের কলার দামই বেড়েছে। রমজানের আগেই পাইকারি বাজারে পোনপ্রতি (৮০ পিস) চাঁপাকলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সাগর কলা ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পোনপ্রতি কলার দাম ইতোমধ্যে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

দেশি সফেদা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং মেওয়া ফল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মিষ্টি বেল প্রতিপিস ২০ থেকে ৫০ টাকা, চাষের স্ট্রবেরি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ফল ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ জানান, এরই মধ্যে গরম বেড়ে যাওয়ায় কলার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলন ভালো হলেও কিছু কিছু ফলের মৌসুমভিত্তিক ব্যাপক চাহিদার জন্য দাম বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

রাজধানীর ডাবের বাজারও চড়া। গত বছর ডাবের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিযান চালিয়ে একটি যৌক্তিক দামে ডাব বিক্রির নির্দেশ দেয়। তবে গরম বাড়তে থাকলে ডাবের দাম নিয়ে আবার হতাশ হতে পারেন সাধারণ ক্রেতারা, বলছেন বিক্রেতারা।

রমজানকে কেন্দ্র করে ফলের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ী হারুন বলেন, পাইকারি বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। ১২ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি, চাহিদা অনুযায়ী জোগান থাকলে দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

উত্তরার স্লুইচগেট সংলগ্ন এই পাইকারি বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফল ঢাকা এবং দক্ষিণ গাজীপুরের বাজারগুলোতে চলে যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন