খেলাধূলা ডেস্ক:
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা ২৩ বছর পেরিয়ে গেছে। এত দীর্ঘ সময়েও ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে নিজেদের অবস্থান খুব বেশি শক্ত করতে পারেনি টাইগাররা। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে দ্রুতই উন্নতি করছে। টেস্টের নবীনতম দেশের একটি হলেও এরই মধ্যে সাফল্যের দেখা পেয়েছে। এমনকি বাংলাদেশকে ঘরের মাটিতে টেস্ট হারের লজ্জায়ও ডুবিয়েছে। তবে একমাত্র টেস্ট সামনে রেখে এবার আশাবাদী বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে প্রথমবার টেস্ট খেলেছিল আফগানিস্তান। এর মাধ্যমে ১২তম টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তারা। গত পাঁচ বছরে মাত্র ছয়টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া আফগানরা এরই মধ্যে পেয়েছে সাফল্যের দেখা। তিনটি টেস্টে জয়লাভ করেছে আফগানিস্তান। জয়-পরাজয়ের হার ৫০ শতাংশ।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমেই জয়ের দেখা পায় আফগানিস্তান। টেস্টে দুই দলের মধ্যে একমাত্র লড়াই এটিই। এবার দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে তারা। তবে গতবারের অনেকেই নেই এবারের দলে। বলতে গেলে এক নতুন আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাটা সবসময় কঠিন। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত বড় দল হওয়ায় বাংলাদেশের জন্যই দুশ্চিন্তাটা বেশি। সফরকারী আফগানদের হারানোর নেই কিছুই, বরং পাওয়ার আছে অনেক কিছু।
তাই আফগানদের নিয়ে না ভেবে বরং নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবতে চায় টাইগাররা। নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে আফগানদের হারাতে বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আফগানিস্তান টিমের বেশির ভাগ সদস্য নতুন। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি না। আমরা ৭৫% নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছি, বাকি ২৫% তাদের পারফরম্যান্স।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতীত রেকর্ডটা ভুলছেন না হাথুরু। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে ২২৪ রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছিল টাইগারদের। টেস্টে আফগানদের যা এখন পর্যন্ত রানের বিচারে সবচেয়ে বড় জয়। তবে এর জন্য ঘাবড়ে গেলে চলবে না বলেই মনে করেন টাইগারদের কোচ।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘অতীত ভালো না, কিন্তু আমরা কনফিডেন্ট, ম্যাচ জিতব।’