খেলাধূলা ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ড এসেও মাঠ থেকে ফিরে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড কথা দিলেও শেষ পর্যন্ত আসেনি। তবে অস্ট্রেলিয়া ঠিকই দীর্ঘ ২৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পা রাখে পাকিস্তানের মাটিতে। এদিকে এক মাসের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে অজিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে টাকার পাহাড় গড়েছে বাবর আজমরা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি রমিজ রাজা এক ভিডিওবার্তায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ থেকে প্রায় ২০০ কোটি রুপি আয়ের আশা প্রকাশ করেন।
ভিডিওবার্তায় রমিজ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য বাঁকবদল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটা আমাদের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এর প্রভাব পিএসএলেও দেখা গেছে। মানুষ এখন এ দলকে নিজের বলে মনে করে, যেটা আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। আর্থিক দিক বিবেচনায় আমরা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছি। আমার ধারণা, এ সফর থেকে প্রায় ২০০ কোটি রুপি আয় করব, যেটা বিশাল।’
তবে রমিজ রাজা বিশাল পরিমাণ আয় নিয়ে আমোদ-প্রমোদে মেতে থাকতে চান না। ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করে দেশের ক্রিকেটকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চান। দেশের ক্রিকেট অবকাঠামোর উন্নতি জরুরি জানিয়ে রমিজ বলেন, ‘ক্রিকেট ও আর্থিক দিক থেকে আমরা সঠিক পথেই আছি। কিন্তু অবকাঠামোতে অনেক পিছিয়ে আছি। আমি অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। এরপরই আমরা এমন পথে হাঁটব, যেখানে তরুণদের কোচিং, অনুশীলন ও পড়াশোনায় নজর দেব।’
২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর জঙ্গি হামলার পর কোনো ক্রিকেট পরাশক্তির দেশ হিসেবে প্রথম অস্ট্রেলিয়া বাবর আজমদের দেশে পাড়ি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেও ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট আগে নিরাপত্তার ইস্যু দেখিয়ে দেশে ফিরে যায়। তাদের পর ইংল্যান্ডও নিরপত্তাজনিত সমস্যা দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাতিল করে। তার আগে অবশ্য পাকিস্তানের মাটিতে জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সিরিজ খেলে এসেছিল। তবে তাদের কেউই এত লম্বা সময় পাকিস্তানে অবস্থান করেনি।
এক মাস ধরে চলা সিরিজে অবশ্য একক আধিপত্য দেখাতে পারেনি কোনো দল। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট ড্র করার পর, শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় পাকিস্তান। আর সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি জিতে পাকিস্তানে একটি নিরাপদ সফর শেষে দেশে ফেরে পাকিস্তান। তাদের এই সফরে এটা প্রায় নিশ্চিত যে, পাকিস্তানের মাটিতে যেকোনো দলই কোনো শঙ্কা ছাড়া সফর করতে পারে।