হোম জাতীয় ‘হাওরে উড়ালসেতু নির্মাণে একটি গাছও যেন নষ্ট না হয়’

জাতীয় ডেস্ক :

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা করে হাওরে সেতু নির্মাণ করা কঠিন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই কঠিন কাজটাই বাস্তবায়ন করছেন। একনেকে উড়ালসেতুর অনুমোদনের সময় তিনি বলেছেন- সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে হাওরের একটি হিজল-করচ গাছও যেন নষ্ট না হয়। গাছের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়। পানিপ্রবাহ ঠিক রেখে এই সেতু নির্মাণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা উড়াল সেতু হবে। সেতুটির পাশে দৃষ্টিনন্দন জাতির পিতার ম্যুরাল হবে। পর্যটকদের জন্য সুব্যবস্থা থাকবে। পার্কিং ও নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। হাওরের রূপ দেখে মুগ্ধ হবে মানুষ। এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলাভূমি এলাকায় টেকসই সড়ক নির্মাণে শেখ হাসিনাই মডেল। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, দেশের দু’টি জেলা আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। তিনি তখন জেলা দু’টির নাম জানতে চেয়েছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম সেই দু’টি জেলা হলো সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা। এই দুটি জেলাকেই সংযোগ করতে হাওরে উড়াল সেতু নির্মাণ হবে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।

এ সময উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক এমরান হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু বাবুল, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আলী আমজাদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রুকেশ লেইস, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন