জাতীয় ডেস্ক :
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে উৎসবের আমেজ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ট্রেনে ও নৌপথে যাত্রীচাপ থাকলেও, সড়কপথে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। মহাসড়কে যানজট আর ফেরি পারাপারে ভোগান্তির আশঙ্কায় সরাসরি না গিয়ে এবার ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে ছুঁটছেন বহু মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো।
যদিও বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই মহাসড়কেই যানবাহনের কোনো চাপ নেই।
দিনের বেশিরভাগ সময়েই মহাসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন কম চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে নির্বিঘ্নে। যাত্রীবাহী গণপরিবহনের চাপ ধীরে-ধীরে বাড়ছে। তবে গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো।
সকাল থেকেই কিছু কিছু যাত্রী দেখা গেলেও গাবতলী, শ্যামলী, কল্যাণপুরসহ রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী উপস্থিতি কমতে থাকে। অবশ্য এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে অনেকেই। যানজটের ভোগান্তি এড়াতে তাই আগেভাগে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন তারা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের যাতে ভোগান্তি না পোহাতে হয় সে জন্য ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তারা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোলপাম্প, হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের পাশে পাম্প, রেস্তোরাঁ নেই। তাই ওই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
লম্বা ছুটির কারণে এখন পর্যন্ত সড়ক পথে কোনো ভোগান্তি দেখা যায়নি মন্তব্য করে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কপথে শুক্র (২৯ এপ্রিল) ও শনিবার (৩০ এপ্রিল) যাত্রীচাপ বাড়তে পারে।