নড়াইল অফিস:
“স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস ২০২৩” জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করায় বাকবন্ধী রূপালী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে । ৮ জুলাই শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমেই রূপালীকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া। সন্মাননা ক্রেস্ট ও নগত ১০ হাজার টাকা প্রদান কর হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরী ,পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা,জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শারমিন চৌধুরী,স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাশ্বতী শীল,সিনিয়র সহকারী কমিশনার বিবি করিমুন্নেছা, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া ইউছুফ , যার হাত ধরে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন সেই ক্রীড়া সংগঠক পান্নু সিকদার, রূপালীর বাবা টুকু মিয়া প্রমুখ।
রূপালী খাতুনের (১৬) বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি (দক্ষিণ পাড়া) গ্রামে। বাবা টুকু মিয়া শেখ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন। চার ভাই-বোনের মধ্যে রূপালী ছোট। বড় ভাইয়েরাও কৃষিকাজে নিয়োজিত। বোন সোনালী খাতুন দশম শ্রেণিতে পড়ে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া রূপালী জন্ম থেকেই শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী। যার ফলে লেখাপড়া করা হয়নি তার। তবে ছোটকাল থেকেই তার কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল। তাই তো সুযোগ পেলেই সাঁতার কাটতেন। এছাড়া খেলাধুলা করতেও বেশ ভালোবাসতেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাক আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বাক প্রতিবন্ধী রূপালীর জন্য বাংলাদেশ ও নড়াইলবাসী গর্বিত। সরকার প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ সকল সুযোগ সুবিধা রূপালী কাজে লাগিয়ে ভালো করেছে। রূপালীকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবে।