হোম জাতীয় সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নামল পানি

জাতীয় ডেস্ক :

ভয়াবহ বন্যার পানিতে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং শাহজালাল উপশহর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়ায় শনিবার (১৮ জুন) ও রোববার (১৯) মহানগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়।

তবে দুদিনের মাথায় কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নেমেছে পানি। ফলে সোমবার (২০ জুন) বিকাল পর্যন্ত সিলেটের বেশিরভাগ স্থানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।

এছাড়া রোববার (১৯ জুন) শাহজালাল উপশহরের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে সঞ্চালন উপযোগী করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জুন) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বিকেলে কুমারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে সিলেট সেনানিবাসের মেজর খন্দকার মো. মুক্তাদির সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিদ্যুৎ বিভাগসহ অন্যান্য সব সরকারি দফতর ও সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যার এ বিপদে যদি বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধ হয়ে যেত তবে আমরা নগরবাসী আরেকটি মহাসংকটের মধ্যে পড়ে যেতাম। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তো। কেউ কারও কোনো খোঁজ নিতে পারতাম না। পানিবন্দী মানুষসহ নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়ে যেতো অনেকাংশে।

তাই অতি জরুরি বিবেচনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন কুমারগাঁও কেন্দ্রটি সচল রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। এই চেষ্টায় সিলেটের সব প্রশাসন, দফতর-সংস্থাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্লাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সঞ্চালন অব্যাহত রাখার উপযোগী অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়।

এজন্য আমি সিলেট জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সিসিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি ধন্যবাদ জানাই।সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাই নগরবাসীকে, এই বিপদের সময় তারা ধৈর্য্যের সঙ্গে নানাভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

সিসিকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোমবার সকালে বরইকান্দির বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন সিসিক মেয়র এবং সেনাবাহিনীর একটি দল। তারা বন্যায় তলিয়ে থাকা বরইকান্দি কেন্দ্রটিও বাঁধ দিয়ে সেচের মাধ্যামে সঞ্চালন উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছেন।

সিসিক মেয়র বলেন, আশা করি মঙ্গলবার (২১ জুন) এটিও চালু করা সম্ভব হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন