হোম জাতীয় সিরাজগঞ্জে স্কুলশিক্ষিকা হত্যায় প্রেমিকসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

জাতীয় ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আনন্দ স্কুল শিক্ষিকা রহিমা খাতুন হত্যা মামলায় প্রেমিকসহ দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঝাউল উত্তরপাড়া গ্রামের নিহত রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিব (৪১) ও হাবিবের সহযোগী একই থানার চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের আইয়ুব আলী (৪৩)।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের পেশকার লিটন ভূঁইয়া ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লোকমান হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রহিমা খাতুন (২২) নিজ বাড়িতে থেকে ব্রাক সমিতির আনন্দ স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। ২০১৮ সালের ৩০ মে সলঙ্গা থানার বেতুয়া গ্রামের আক্তার হোসেনের জমির পূর্বপাশে বাবলাতলা খালের কিনারে হাঁটু পানিতে রহিমা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

পরে নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত চলাকালে পিবিআই রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের মধ্যে বিয়ে নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমান হাবিব তার সহযোগী আইয়ুব আলীকে সঙ্গে নিয়ে রহিমা খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিমা খাতুনকে হত্যা করে খালের পাশে লাশ ফেলে রাখে। পরে হাবিবুর রহমান হাবিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে পিবিআই হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে আসামি করে ২০১৯ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষ হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন