হোম জাতীয় সায়মন বেচে ফিরলেও খুঁজছেন পরিবারকে

জাতীয় ডেস্ক :

ভাগ্যক্রমে সায়মন আর তার বাবা প্রাণে বেঁচে গেলেও খুঁজে ফিরছেন পরিবারের বাকি সদস্যদের। শনিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আমিনবাজারে কয়লার ঘাটে তুরাগ নদে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় মা ও দুই শিশু সন্তানসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জনকে।

তুরাগের তীরে বসে ১০ বছরের সায়মন। সামনের বিশাল জলরাশির মাঝে দুই চোখ খুঁজে ফিরছে মা আকলিমা বেগম ও ৭ বছর বয়সী বোন জুঁইকে।

আমিনবাজার থেকে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি ফিরছিলে সায়মন। কিন্তু বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় তাদের ট্রলার। বাবা ও সায়মন বেঁচে গেলেও পরিবারের বাকিরা নিখোঁজ।

সায়মনের বাবা বলেন, নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কাত হয়ে পড়ে যায়। তখন বাল্কহেড ভেতর দিয়ে চলে গেছে। সব ডুবে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, শনিবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটে তারা ট্রলারডুবির খবর পান।

শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। ৬ ঘন্টার চেষ্টার পর ১৮ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ২ শিশু ও এক নারীসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। নদীর তলদেশে ডুবে যাওয়ায় নিখোঁজদের বেঁচে থাকার আশঙ্কা করছে ফায়ার সাভিস।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে নদী পারাপারের সময় ১৮ জন যাত্রীসহ একটা নৌকাডুবি হয়। দীর্ঘক্ষণ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার পরে এক নারী ও দুটি বাচ্চা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। যে ট্রলারটা ডুবে গেছে সে ট্রলারটা আমরা শনাক্ত করেছি। সেটা রশি দিয়ে বেঁধে তোলা হবে।

যাত্রীবাহী ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়া বাল্কহেডটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যে বাল্কহেডটা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এটির বিরুদ্ধে আমরা মেরিন কোডে মামলা করব।

উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছেন নৌ বাহিনীর রেসকিউ টিম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন