হোম জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না: অর্থ উপদেষ্টা

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না: অর্থ উপদেষ্টা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 87 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থের অভাবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না— যা এখন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আমরা বলি, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তারপর শিক্ষার কথা বলেন। কিন্তু টাকা কোথায়?’

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব স্থিতি, অবকাঠামো বাস্তবায়ন ও ইসলামি মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্সের অধ্যাপক এম কবীর হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাইরের দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে সরকারের পক্ষ থেকে ভালো সেবা পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের দেশে নাগরিকরা ট্যাক্স দিয়েও সেবা পায় না। এমন হলে তো লোকজন কিছুটা গোসসা করবেই।’

সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশে সমস্যা হলো অর্থায়নের অভাব। আমরা যেখানে বসে থাকি, সরকারি লোকজন মনে করে সবকিছু দিয়ে দেওয়া যাবে। প্রতিদিন বলে এই দেন, সেই দেন। অর্থের যতটা সামর্থ্য, সেটা আমরা পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স, নন-ট্যাক্স রেভিনিউ আমাদের অনেক কম। আমাদের দেশে প্রাইভেট সেক্টরের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। বলেন, বড় বড় প্রজেক্ট করেন।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ট্যাক্স কমানোর কথা বলে। ট্যাক্স কমাতে কমাতে এমন অবস্থা আমরা হয়তো বেতন-ভাতাও পাবো না। সবাই বলে ট্যাক্স কমিয়ে দেন। ট্যাক্সই দিতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের দোষ দেই, পড়াচ্ছেন না। এই মাইনে দিয়ে কী পড়াবেন? আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ব্রাজিলে ২৬ শতাংশ ট্যাক্স জিডিপি রেশিও। ওরা ট্যাক্স দেয়, সেবা পায়।’

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা এবং সুকুক বন্ড সম্প্রসারণের প্রযয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেন সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমানো যায়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সুকুক আছে, কিন্তু তার প্রায় সবই সরকারি প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। বেসরকারি খাতও এই টুলটি ব্যবহার করে অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বড় অবকাঠামো প্রকল্প যেমন এমআরটি (মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) ব্যবস্থায় সিকিউরিটাইজেশন প্রয়োজন, যেগুলোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন