হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরা আদালতে কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা

সাতক্ষীরা আদালতে কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 67 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার যুগ্ন জেলা জজ প্রথম আদালতে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক। আদালতের বিচারক এস এম মাসুদ পারভেজ মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত ১৪ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক। সে সময় আদালত নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিলের আদেশ দেন। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর বাদীপক্ষ কোর্ট ফি দাখিল করার পর আদালত বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক সাতক্ষীরা পৌরসভার বাঁকাল এলাকার মৃত শেখ আব্দুল কাদেরের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বাদী শেখ আব্দুল অমিক দীর্ঘ ২৩ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের অনিয়ম নিয়ে মাঝে মাঝে মন্তব্য করলেও তিনি সর্বদা কারা অধিদপ্তরের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোঃ মোতাহের হোসেন ৫৮,০৪,০০০০,০২৮,০৫,০০১,২৫-২৭৯ নং স্মারক অনুযায়ী তাকে দেশের সকল কারাগারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত চিঠির কপি সকল কারাগারে পাঠানো হয়। এতে বাদী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাদী শেখ আব্দুল অমিক আদালতে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দেশের সব কারাগারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা অন্যায় এবং বেআইনি। এ ঘটনায় বাদী গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মহাপরিদর্শককে প্রতিবাদপত্র দেন এবং পরবর্তীতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। প্রতিবাদপত্র ও লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও বিবাদীপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারণে তিনি আদালতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেছেন।
সাতক্ষীরার আদালতের জিপি এড. অসীম কুমার মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মহাপরিদর্শকের পক্ষ হতে কেন এ ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল তার যৌক্তিকতা তিনি আদালতে উপস্থাপন করবেন। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন