হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সন্ত্রাসী হামলায় আদিবাসী নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তাখালী গ্রামের আদিবাসী মুন্ডাদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরেন্দ্র মুন্ডাসহ তিন নারীকে আহত করার ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্ডা সম্প্রদায় স্বার্থ সংরক্ষণ ও আন্দোলন সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে সোমবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সামসের সভাপতি গোপাল মুন্ডার সভাপতিত্বে ও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটির সদস্য শেখ ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটির সদস্য প্রভাষক ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ তীর্ণমূল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ফেডারেশনের সভাপতি শিপন শীল, স্বদেশের নির্বাহী পরিচলাক মাধব দত্ত, হেডের পরিচালক লুই রানা গাইন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবির, এলএআরটির সহকারী পরিচালক রওশন জাহান মনি, লিডার্সের মোহন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, সিডিওর পরিচালক গাজী আল ইমরান, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আফজাল হোসেন, সুন্দরবন মুন্ডা সম্প্রদায়ের সভাপতি কৃষ্ণপদ মুন্ডা, হিন্দু পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার দাশ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জমিদাররা মুন্ডাদের রাঁচি থেকে এনেছিলেন সুন্দরবন কেটে বসতি গড়ার জন্য। তারা বাঘ কুমিরের মুখে জীবন দিয়ে সুন্দরবনের বসতি গড়েছেন। তারাই আজ নিজের জায়গা হারাচ্ছে। ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ত্ব আইনে মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি হস্তান্তর যোগ্য নয় বলে আইন পাশ হয়। কিন্তু সরকারী দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা মুন্ডাদের পদবী পরিবর্তন করে কৌশলে তাদের জমি হাতিয়ে নিচ্ছে। মানববন্ধন থেকে নরেন্দ্র মুন্ডার হত্যাকারীকে শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয় এবং ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।

বক্তারা আরো বলেন, সন্ত্রাসী হামলার নেতৃত্বে থাকা উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম, যুবলীগ ফিরোজসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষ আসামীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের আসামীকে মামলা নেওয়াসহ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। এদিকে, আন্দোলনকে বেগবান করতে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীকে আহবায়ক ও দিপঙ্কর মন্ডলকে সদস্য সচিব করে মুন্ডা স¤প্রদায় স্বার্থ সংরক্ষণ ও আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন