হোম খেলাধুলা সাকিব-তামিমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘বাবা-মা’: মেহেদী

খেলাধূলা ডেস্ক :

বাশার-রফিকদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের হাল ধরেছিলেন সাকিব-তামিমরা। সময়ের পরিক্রমায় তারা হয়ে উঠেছিলেন টাইগার ক্রিকেটের প্রাণ, পেয়েছেন পাণ্ডব খেতাব। যে কারণে তাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘বাবা-মা’ মনে করেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান।

বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা নিশ্চয় ২০০৭ পরবর্তী সময়কে সহজে ভুলবেন না। হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, আফতাব আহমেদদের অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছিলেন মাশরাফী, আশরাফুলরা। তাদের সঙ্গ দিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা বিশ্ব ক্রিকেটকে নতুন এক বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিলেন চার তরুণ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঝপথে আশরাফুল পথ হারালেও, বাকিরা ঠিকই ক্রিজে তাদের গর্জন অব্যাহত রেখেছিলেন।

সময়ের পরিক্রমায় তারা পেয়ে গেলের টাইগার ক্রিকেটের পঞ্চ পাণ্ডবের খেতাব। এখন আবার সময় এসেছে তাদের অনুপস্থিতিতে নতুন এক বাংলাদেশকে পরখ করার। মাশরাফি ঘোষিত অবসরে। তামিম ইকবাল সংক্ষিপ্ত সংস্করণ থেকে নিয়েছেন বিদায়। এদিকে বাকি তিন পাণ্ডবকে বিশ্রাম দিয়ে বিসিবি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিসিবি নতুন এক বাংলাদেশকে পরখ করে দেখতে চাইছে। প্রথমবারের মতো তাদের ছাড়া কোনো সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

এদিকে সিনিয়রদের অবর্তমানে নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিতে শিখবেন বলে মনে করেন শেখ মেহেদী হাসান। সাকিব-তামিমদের এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের মা-বাবা মনে করেন তিনি।

মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) মেহেদী বলেন, ‘একটা সময় তো সিনিয়ররাও থাকবেন না। আমাদের মধ্য থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবেন। সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরাও জুনিয়র হয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন ওনার বয়স ছিল ২২। খেলতে খেলতে ওনারা এই পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দলটা আছে, সময় লাগবে। নেতৃত্ব ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে পারবে।’

মেহেদীরাও যে একবারে নতুন এমন না। সাকিব-তামিমদের অধীনে বেশ কয়েক বছর ধরেই জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাসকিন, মোস্তাফিজরা দলে খেলছেন প্রায় সাত বছরের বেশি। মেহেদীর নিজেই লাল সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন বছর চারেক আগে।

অনভিজ্ঞ বা নতুন কোনো দল জিম্বাবুয়ে সিরিজে যাচ্ছে এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই জায়গায় একদমই কেউ নতুন না। সবাই তিন-চার কিংবা পাঁচ বছর ইতিমধ্যে জাতীয় দলে খেলছে। এখানে অনেকেই সাত-আট বছর খেলেছেন। সুতরাং বেশির ভাগই অভিজ্ঞ। তরুণ দু-একজন আছেন। আমরা বেশির ভাগই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সবার বোঝার ক্ষমতা আছে।’

সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে নিজেদের সক্ষমতাও একবার নিজেরা পরখ করে দেখার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন শেখ মেহেদী। তিনি বলেন, ‘আপনি পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন আপনাকে বড় করতে বাবা-মা সব দায়িত্ব নেন। যখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান, তখন নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। সেক্ষেত্রে এই সিরিজ থেকে বলতে পারব, আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে। যেহেতু সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই নেই। তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের মা-বাবাই ছিলেন।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন