জাতীয় ডেস্ক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতু পাল্টে দিয়েছে ৭টি চরের প্রায় ৬ লাখ মানুষের জীবন।
উন্নয়ন বঞ্চনার সময় পেরিয়ে এখন তারা এগিয়ে যাচ্ছেন উন্নত জীবনের দিকে। চরাঞ্চলে গড়ে উঠছে নতুন রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ ও পর্যটন এলাকা।
মহানন্দা নদীর কারণে যুগের পর যুগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়ন। নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ছিল উন্নয়নবঞ্চনাও। শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সব নাগরিক অধিকার থেকে পিছিয়ে ছিল সাতটি ইউনিয়নের মানুষ।
২০১৫ সালের ১৬ মে মহানন্দা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের পরই চরের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়। চরাঞ্চলবাসী বলছেন, একটি সেতু তাদের চিরদিনের ভোগান্তি লাঘব করে দিয়েছে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও এগিয়ে যেতে চান চরাঞ্চলবাসী। তারা এখন স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নকে নিয়ে একটি উপজেলা গঠনের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘যে পথ দিয়ে আমরা জুতা পায়ে হাঁটতে পারিনি ধুলাবালির কারণে, সেই পথ দিয়ে কার্পেটিং রাস্তায় চলাচল করছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়াড় উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ব্রিজকে ঘিরে আমরা একটি স্বতন্ত্র দিয়াড় উপজেলা চিন্তাভাবনা করছি বা স্বপ্ন দেখছি।’
৫৪৬ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।