নিউজ ডেস্ক:
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ফলে এখন থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাদের আপিল করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) তাদের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দুটি অভিযোগে এ রায় ঘোষিত হয়।
অভিযোগ-১, তিনটি কাউন্ট।
কাউন্ট-১: ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
কাউন্ট-২: ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে তাদের ফাঁসি দেবো বলে উস্কানি ও আদেশ দেন। অপরাধ সংঘটনে আসামিরা তার অধীনস্থদের কোনও বাধা দেননি।
কাউন্ট-৩: এরই ফলশ্রুতিতে রংপুরে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যা।
শাস্তি: শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড।
অভিযোগ-২: তিনটি কাউন্ট।
কাউন্ট-১: ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে তাপসের এবং পরবর্তী সময়ে হাসানুল হক ইনু সঙ্গে কথোপকথনে দেখা যায়, আসামি শেখ হাসিনা ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারিদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দেন। অপরাধ সংঘটনে আসামিরা তার অধীনস্থদের কোনও বাধা দেননি।
কাউন্ট-২: যার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে ছয় জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।
কাউন্ট-৩: যার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় জন আন্দোলনকারীকে হত্যা করে পুলিশ। পরে তাদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শাস্তি: শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড।
দুই আসামির সব সম্পদ সরকারের পক্ষে বাজেয়াপ্ত করা হয়। সরকার জুলাই এ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তা বিতরণ করবে।
উভয় অভিযোগে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
