হোম জাতীয় শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না খুনি শওকতের

জাতীয় ডেস্ক :

স্ত্রীকে নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যা। এরপর, সিএনজি অটোরিকশায় করে মরদেহ অফিসে নিয়ে সুযোগ বুঝে সেপটিক ট্যাংক লুকিয়ে রাখা। গন্ধ এড়াতে সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় ট্যাংকটির ঢাকনাও। সবকিছুই করা হয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি হত্যাকারী শওকত আলীর। ঘটনার ৮ মাস পর অজ্ঞাতনামা সেই লাশের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পারিবারিক কলহের জেরে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার বাসায় স্ত্রী লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী শওকত আলী।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে বাধ্য হন অভিযুক্ত শওকত আলী। তদন্তকারী টিমকে নিজেই নিয়ে যান খুলশী এলাকার বাসায়। যেখানে পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যা করা হয় স্ত্রীকে।

দ্বিতীয় ঘটনাস্থল পাঁচলাইশ নাসিরাবাদ হাউজিংয়ের অফিস। স্ত্রীকে হত্যার পর বেডশিট মুড়িয়ে লাশ নিয়ে এসেছিলেন এখানে। পরবর্তীতে কৌশলে সেই লাশ লুকিয়ে রাখে সেপটিকত ট্যাংকের ভেতরে। এমনকি কয়েকদিন পর গন্ধ বের হওয়ায়, সেই ট্যাংকের ঢাকনা সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেয় সে। লাশ গুমের অন্তত ৬ মাস পর গত ৭ এপ্রিল ট্যাংক পরিষ্কারের জন্য ঢাকনা ভাঙা হলে বের হয়ে আসে এক নারীর গলিত মরদেহ।

অভিযুক্ত শওকত স্বাভাবিকভাবে অফিসও করেছিল। তার ওপর গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি চলছে ধারণা করে একবার সৈয়দপুর পালিয়ে গেলেও পরে আবার চট্টগ্রাম ফিরে আসেন তিনি।

সিএমপির সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) কামরুল হাসান বলেন, বাড়ির মালিক যখন সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্যে বাইরে থেকে সুইপার নিয়ে আসে। তারা পরিষ্কার করার সময় দেখে মানুষের মরদেহ।

লাশ উদ্ধারের পর ভবন মালিকের দায়ের করা মামলাটি প্রথমে পাঁচলাইশ থানা তদন্ত করলেও পরবর্তীতে তদন্তভার পায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আর ৮ মাসের মাথায় গোয়েন্দা পুলিশ ক্লুলেস এ মামলার রহস্য উন্মোচন করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন