হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়ার অন্যতম তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

রাশিয়ার অন্যতম তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার অন্যতম তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে অন্তত ৩৬১টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল কিরিশি তেল শোধনাগারে অল্প সময়ের জন্য অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত কীভাবে শেষ করা যায় তা নিয়ে যখন বড় শক্তিগুলো আলোচনা করছে, তখন ড্রোন যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে এবং ইউক্রেন রাশিয়ার তেল শোধনাগার ও পাইপলাইনের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। অথচ রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তত ৩৬১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে চারটি নির্দেশিত আকাশ বোমা এবং একটি মার্কিন নির্মিত হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। তবে হামলাগুলোর সুনির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য দেয়নি মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার শীর্ষ দুই শোধনাগারের একটি বিশাল কিরিশি তেল শোধনাগার ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।

লেনিনগ্রাদ অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার দ্রজদেনকো জানিয়েছেন, কিরিশি এলাকায় তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে যে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল তা নেভানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ আহত হয়নি।

ইউক্রেনের ড্রোন কমান্ড নিশ্চিত করেছে যে, তারা শোধনাগারটিতে হামলা চালিয়েছে এবং জানিয়েছে যে এটি ছিল একটি সফল আঘাত।

রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে শোধনাগারের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

কিরিশি শোধনাগার বছরে প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন (৩ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল প্রতিদিন) রুশ অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করে, যা দেশের মোট উৎপাদনের ৬.৪ শতাংশ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে যেন তারা রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করে, রাশিয়ার আয় কমায় এবং ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের অবসানে সহায়তা করে।

শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর নতুন জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। তবে শুধু সব ন্যাটো দেশকে রুশ তেল কেনা বন্ধ করতের হবে।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৮ সালের মধ্যে রুশ তেল ও গ্যাস আমদানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্য বজায় রাখবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

রাশিয়ার বাশকোর্তোস্তান অঞ্চলের এক তেল কোম্পানি শনিবারের ড্রোন হামলার পরও উৎপাদন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর রাদি খাবিরভ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন