আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সন্ত্রাসবাদ দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফাস্ট লেডি জিল বাইডেন। দেয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা। মোদিকে হোয়াইট হাউজে অভ্যর্থনা জানাতে এদিন নজরকাড়া আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ অনেকে। হোয়াইট হাউজ ঘিরে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শত শত ভারতীয়।
পরে বহুল আলোচিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন এই দুই নেতা। বৈঠকে আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনীতির পাশাপাশি দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠক শেষে হোয়াইট হউজের লনে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন বাইডেন-মোদি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশ এক হয়ে কাজ করবে। এ সময় অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অকাসের গুরুত্ব তুলে ধরে বাইডেন বলেন, খাদ্য, জ্বালানি সঙ্কট সমাধানে এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ।
এরপর নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, তাকে যে সম্মান জানানো হয়েছে তা ১৪০ কোটি ভারতীয়ের, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ৪০ লাখ ভারতীয়ের। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ভারত।
ভারতের সংখ্যালঘুদের নৈতিক অধিকারের প্রশ্নে মোদি বলেন, ভারতে সরকার চলে সংবিধানের ভিত্তিতে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য রুখতে করণীয় ঠিক করেন তারা। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদি।