বিনোদন ডেস্ক :
ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন সময় শোবিজ তারকাদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন মুরাদ।
প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী এবং ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। নেট দুনিয়ায় বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল তার ওই বক্তব্য। একটি সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমীর শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুরাদ। আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খানকে ‘তেলাপোকা’ বলে কটূক্তি করেন।
এফডিসিতে সোহানুর রহমান সোহানের ‘রাজকুমার’ সিনেমার মহরতে ডা. মুরাদ বলেন, ‘মৌসুমী ভালো করছে, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, ওয়েটটার দিকে একটু নজর দিন।’
সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানে আসতে চাই না। কারণ, বিতর্ক তৈরি হয়। মাঝে তো বিতর্কের চোটে ফিল্মপাড়ায় পা দেওয়া মানেই আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার মতো। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, স্ক্যান্ডাল থেকে দূরে থাকতে।’
এরপর রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার মহরতে শাকিব খানকে নিয়ে কটূক্তি করেন মুরাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিন্তু ভালো ছবি খুবই কম নির্মাণ হচ্ছে। একটু আগে আমি সোহান ভাইকে বললাম, শাকিবকে দেখলে অনেক সময় আমি দুষ্টামি করে বলি, এই, তুই তো অভিনয় জানোস না। তুই তো শুধু লাফাস। সিনেমা যদি কেউ দেখে, তার মধ্যে উপজীব্য কিছু যদি না থাকে, স্টোরি, কাহিনি না থাকে, তো তুমি শুধু লাফাইতেছ, নাচতেছ, গান গাইতেছ তেলাপোকার মতো, এটা তো উপভোগ করার চেয়ে পেইন লাগে। এই যে পেইন, এটা থেকে মুক্ত হতে চাই।’
এ বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর প্রতিবাদ করেছিলেন শাকিব-মৌসুমী ভক্তরা। কিন্তু শোবিজ অঙ্গনের কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। এমনকি চিত্রপরিচালক সোহানুর রহমান সোহানও তার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননি।