হোম অন্যান্যসারাদেশ মাগুরায় ‘গ্রীণসিটি’র উদ্বোধন, ঠাঁই পেল ৪০টি গৃহহীন পরিবার

মাগুরায় ‘গ্রীণসিটি’র উদ্বোধন, ঠাঁই পেল ৪০টি গৃহহীন পরিবার

কর্তৃক
০ মন্তব্য 127 ভিউজ

মাগুরা প্রতিনিধি :

মাগুরায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গৃহহীন হৃত-দরিদ্রদের জন্য সরকারি অর্থায়নে সদর উপজেলার বাহারবাগে স্থাপিত গুচ্ছগ্রাম ‘গ্রীণসিটি’ নামে একটি আবাসনের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪০টি দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের এই গ্রীণসিটিতে ৪০টি গৃহহীন ভূমিহীন হতদরীদ্র পরিবার ঠাঁই পেয়েছেন। এসব পরিবারের অধিকাংশই নারী।

সিংহভাগ স্বামী পরিত্যাক্তা ও বিধবা। গ্রীণসিটিতে রয়েছে একটি মিলনায়তন। যেখানে নিয়মিতভাবে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা নানা আয় বর্ধক কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেন। এছাড়া গ্রীণসিটিতে মাছ চাষের জন্য রয়েছে একটি খামার। রয়েছে হাঁস-মুরগী পালনের ব্যবস্থা। রোপন হয়েছে বিভিন্ন ফলদ ও ঔষধী বৃক্ষ। রয়েছে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

দুই কক্ষের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি রয়েছে অত্যাধুনিক টয়লেট ও পরিবেশ বান্ধব চুলা। জাতীয় পতাকার রঙের আদলে সুবজ ও লাল রঙের মিশ্রনে সেমি পাকা টিনসেডে প্রতিটি ঘরকে রঙ দিয়ে এ গ্রীণসিটিকে সাজানো হয়েছে। ঘরের চালার টিনগুলো সবুজ হওয়ায় দুর থেকে এই গ্রীণসিটিকে সবুজ আচ্ছাদিত মনে হয়। আবাসন সুবিধার পাশাপাশি এখানে স্থান পাওয়া পরিবারগুলো আয়বর্ধক নানা কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হবেন। পাবেন সরকারি সব সুবিধা।

দুপুরে এটির উদ্বোধন করেন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হেসেন হাওলাদার। মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফাজ উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, মাগুরা গ্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব।

এখানে স্থান পাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে ছখিনা খাতুন, জাহেদা বেগম, মিতু খাতুনসহ অন্যরা জানান, নিজস্ব ঘর না থাকায় তারা এতো দিন কেউ বাবার বাড়িতে, কেউ বা অন্যের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। এখন মাথা গুজার ঠাঁই পাওয়ায় তারা সামনের দিনগুলোতে আরো সুন্দর করে বাঁচার আশা করছেন।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় এই গ্রীণসিটি স্থাপিত হয়েছে। তবে অন্যান্য গুচ্ছগ্রাম থেকে এটির নকশা, স্থাপনা ও কার্যক্রমে ভিন্নতা আনা হয়েছে। এর আগে মাগুরা সদরের জগদলে ১৫টি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের জন্যে স্থাপিত হয়েছে পিংক ভিলেজ। যেটি সারা দেশে এখন অনন্য মডেল। একইভাবে এই গ্রীণসিটি অনুকরণীয় একটি কাজ হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন