খেলাধূলা ডেস্ক:
আইপিএলের প্রথম আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সে আসরে সোহেল তানভীর সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক বৈরিতায় এরপর আইপিএলের দার রুদ্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানিদের জন্য। বিশ্বের জনপ্রিয়তম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এরপর আর কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারই খেলার সুযোগ পাননি।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার অবশ্য আইপিএলে এরপরও দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। তিনি পাকিস্তানের অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ। অবশ্য তিনি খেলেছেন ব্রিটিশ পাসপোর্টে। এবার একই পথে হাঁটার কথা ভাবছেন আরও এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে পাকিস্তান জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন পেসার মোহাম্মদ আমির। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ তিনি। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হওয়ায় আইপিএলে খেলার সুযোগ পান না তিনি। তাই ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে ২০২৪ সাল থেকে আইপিএল খেলার কথা ভাবছেন আমির।
রমিজ রাজা বোর্ড থেকে ও মিসবাহ উল হক, ওয়াকার ইউনিস জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর আমিরের জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন উঠলেও তিনি সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে জানান, পাকিস্তান জাতীয় দল এখন তার কাছে অতীত। এদিকে ব্রিটিশ নাগরিক নারজিস খানকে বিয়ে করায় আর এক বছর পরই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাবেন আমির। তাই গুঞ্জন উঠেছে ২০২৪ সাল থেকে আইপিএলয়ে খেলার কথা ভাবছেন আমির।
এই গুঞ্জন কতটা সত্যি তা আমিরের কাছে জানতে চেয়েছিল পাকিস্তানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম। সেই প্রশ্নের উত্তরে একদম সরাসরি না দিলেও সম্ভাবনা উড়িয়েও দেননি পাকিস্তানের জার্সিতে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাজয়ী আমির।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলব না। আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি। দ্বিতীয়ত, এখনো এক বছর লাগবে। তখনকার পরিস্থিতি কী হবে? আমি সব সময়ই বলি, আমি ধাপে ধাপে এগোই। আমরা জানি না, আগামীকাল কী হবে, ২০২৪ সাল থেকে আইপিএল নিয়ে ভাবা শুরু করব।’
টি-টোয়েন্টির ফেরিওলা হিসেবে আমির এখন বিশ্বের নানাপ্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে থাকেন। সম্প্রতি জিম্বাবুয়েতে হতে যাওয়া জিম-আফ্রো টি-টেন লিগে ডারবান কালান্দার্সে নাম লিখিয়েছেন তিনি।