আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক সামরিক মহড়া। এতে প্রদর্শন করা হয় অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। মহড়ায় যোগ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনের মধ্যদিয়ে মূলত বিশ্বকে আবারও নিজেদের শক্তি দেখাল ইরান। হয়ে গেল বিশাল এক সামরিক মহড়া।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দেশটির রাজধানী তেহরানে আয়োজিত এ সামরিক মহড়ায় যোগ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এতে প্রদর্শন করা হয় অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ট্যাংক, আর্টিলারি, বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং অন্যান্য সব আধুনিক অস্ত্র।
মহড়ায় অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সামরিক খাতের উন্নয়নে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাদের যে কোনো হুমকি বা হামলা মোকবিলায় সদা প্রস্তুত থাকবে ইরানের সামরিক বাহিনী।
বার্ষিক এ সামরিক মহড়ায় অংশ নেন সামরিক বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। এছাড়া এতে যোগ দেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে হু হু করে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে পরমাণু চুক্তি নবায়ন করা গেলে ইরান তেলের দাম কমাতে পারে বলে মনে করছে আয়ারল্যান্ড। খবর আইরিশ টাইমসের।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কভেনির মতে, রাশিয়ার বিকল্প হতে পারে ইরান। যদি তেহরানের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসা যায়, তবে উদ্ভূত সংকট কাটিয়ে উঠা যেতে পারে।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে তেলের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকট সমাধান না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প উৎস খুঁজছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে আশার আলো দেখছে পশ্চিমা নেতারা। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কভেনি মনে করেন, ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হলে তেলের বড় উৎপাদক দেশগুলোকে বাজারে আনা যাবে। এর ফলে তেলের দাম কমতে পারে।