রাজনীতি ডেস্ক:
বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেন, সংবিধান মেনেই আগামী নির্বাচন হবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।
সংবিধানমতে এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোট সামনে রেখে একদিকে যেমন আন্দোলনে মুখর বিএনপি, তেমনি মাঠে আছে আওয়ামী লীগও।
শনিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ১৫ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে যোগ দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু।
১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের সংবিধানকে পাকিস্তানি আদলে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের সংবিধানে তারা বিশ্বাসী নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সাংবিধানিক ধারা বজায় রেখে এই দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সেখানে তোমাদের যা যা করণীয় আছে, যত পর্যবেক্ষক পাঠাও, যত আইনকানুন দেখাও–সব মেনে নেব। এমনকি নির্বাচনকালীন সরকারে যদি কেউ আসতে চায়, সংবিধানে না থাকলেও আমরা কিছুটা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শতকরা যে ক’জন পায়, সেই ক’জন দিতে পারি।’
এদিকে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানস রাজধানীর একটি হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, বিএনপি দম্ভোক্তি করছে। গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করছে দলটি।
বাংলাদেশে উন্নয়নের স্বার্থে আবারও নৌকাকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।