নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী দুর্গাপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ২০২২ সালে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুর্গাপুরের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন দুর্গাপুরের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।
বিএনপির ২ নেতা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য হাসান ফারুক ইমাম সুমন ও উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য জার্জিস হোসেন সোহেল।
বিএনপির দলীয় হাই কমান্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো দুর্গাপুরের দুই নেতা এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে । এখন উপজেলা বিএনপির কমিটির পদ পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর হয়েছেন অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সূত্র বলছে,২০২২ সালে বিএনপি’র দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পৌর মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন জার্জিশ হোসেন সোহেল ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন হাসান ফারুক ইমাম সুমন। তাদের এহেন কর্মকান্ডে নীতিবাচক প্রভাব পড়েছে উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে। তৈরি হয়েছে জনমনে ক্ষোভ।
তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন তারাই বর্তমানে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড ও জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা তৈরী করে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে দলীয় পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নীতি নির্ধারক নেতৃবৃন্দের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকগণ ।
তাদের দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী এই নেতাদের আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের পাতানো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ গ্রহনের আমলনামা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।