জাতীয় ডেস্ক:
পাবনায় বাকিতে ভুসি না দেয়ায় দোকানদার আকবর শেখ (৮৬) ও তার ছেলে লিটন শেখ (৩০) কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বাকিতে ভুসি না দেয়ায় বাবা-ছেলেকে মারধর
শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাবনা সদর থানার মহেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের অভিযোগ, গতকাল (শনিবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার সময় পাবনা সদর থানার মহেন্দ্রপুর আকবর আলী শেখের দোকানে ভুসি কিনতে আসে পাশের এলাকার মোহাম্মদ হোসেন। এমন সময় দোকান থেকে ভুসি কিনে টাকা বাকি রাখতে বলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন। এ সময় বাকি দিতে নারাজ হয় ভুসির দোকানদার আকবর শেখ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ হোসেন (৫০), তার ভাই চাদু আলী (৫৫) এবং একই এলাকার হৃদয় শেখ (২২) আকবর শেখকে বেধড়ক মারধর করে।এ সময় আকবর শেখের ছেলে লিটন শেখ মারামারিতে বাধা দিলে তাকে লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল দিয়ে মারপিট করে সেখান থেকে সটকে পরে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে আহতদের স্বজন আশা খাতুন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার নানা এবং আমার মামার ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলার পরে আমরা আমার নানা ও আমার মামাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। বর্তমানে আমার মামা লিটন শেখ গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শারীরিক অবস্থার অনেকটা অবনতি হয়েছে। বুকে ইটের আঘাত লাগায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ কারণে আমার মামাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। এরপরেও মাঝে মাঝে বমি করছে। অন্যদিকে আমার নানার পায়ে হকিস্টিকের আঘাত লাগার কারণে নানা হাঁটতে পারছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা জানায়, মোহাম্মদ হোসেন, চাদু আলী ও হৃদয় শেখ প্রায়ই তুচ্ছ বিষয়ে অন্যদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি করে এবং মারামারি করে৷ এরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। অনেক বার মাদকসহ প্রশাসনের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে৷ তবুও এদের আধিপত্য বিস্তার কখনই কমতে দেখি নাই।
উক্ত মারামারির বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানায়, আমরা ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।