হোম জাতীয় বাংলাদেশ সীমান্তে কেন উসকানি দিচ্ছে মিয়ানমার?

জাতীয় ডেস্ক :

বাংলাদেশকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মিয়ানমারে অবস্থানরত বাকি ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে দেশটি। আর এ কারণেই হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান দিয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর উসকানিমূলকভাবে মর্টারশেল নিক্ষেপ করছে।

নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণভয়ে পালিয়ে এলেও সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। আরাকান আর্মির পাশাপাশি কোচিন আর্মি, শান, কারেন, মং, শিন এবং কায়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মারাত্মক সংঘাত চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর।

এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়াতে কিছুটা ভিন্ন কৌশল নিয়েছে তারা। এরই অংশ হিসেবে উসকানি দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে।

রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক প্রফেসর ড. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তারা মর্টালশেল নিক্ষেপ করছে। একটা চাপ সৃষ্টি করে তারা চায় বাকি রোহিঙ্গারাও যেন বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও চলে যায়। এছাড়া উসকানি দেয়া হচ্ছে যে বাংলাদেশ যেন যুদ্ধে জড়ায়। এতে রোহিঙ্গা নির্যাতন আরও বেড়ে যাবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় একের পর এক স্থলমাইন স্থাপন করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আগে এ ধরনের মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গারা হতাহত হলেও এখন বাংলাদেশিরাও এর শিকার হচ্ছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান আন্তর্জাতিক রীতিবিরুদ্ধ হলেও মিয়ানমার তা মানছে না।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে তারা মাইন পুঁতেছে। তারা চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছে। তারা বারবার আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। অতীতে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তারা আবারও আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করার দুঃসাহসটা দেখাচ্ছে।’

তবে, সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।’

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সাগর এবং স্থল মিলিয়ে ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। আর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের টেকনাফ এবং উখিয়ায় অবস্থান করছে মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন