খেলাধূলা ডেস্ক :
সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ওই ম্যাচে বিরাট কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিং’ নিয়ে যে বিতর্ক সেটি আমলে নিলে হয়তো জয়টা থাকতো টাইগারদের পক্ষেই। মাঠে শান্তরা আবেদন করলেও, বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন ফিল্ড আম্পায়াররা।
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের দ্বিতীয় বলটি থার্ডম্যান অঞ্চলে পাঠিয়ে দুই রানের জন্য দৌড়ান লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। থার্ডম্যান অঞ্চল থেকে ওই বলটি উইকেটকিপারের দিকে থ্রো করেন আর্শদীপ সিং। ওই বল না ধরেই ছায়া ফিল্ডিং করেন বিরাট কোহলি, যা ক্রিকেটের নিয়মবিরুদ্ধ। তবে মাঠে নাজমুল হোসেন শান্ত আবেদন করলেও, আম্পায়াররা বিষয়টি উড়িয়ে দেন।
এদিকে, গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেমির ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শনিবার (৫ নভেম্বর) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরামের কাছেও এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের হারের পেছনে এটাই বড় কারণ কি না। জবাবে শ্রীরাম বলেন, এটা (ফেক ফিল্ডিং) নিয়ে অজুহাত দেখানোর কিছু নেই। তবে ঘটনাটি ঘটার পরপরই আমি ফোর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু এটা অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল। আর তাই কিছুই করার ছিল না। আমরা আমাদের বলা বলেছি। কিন্তু কোনো অজুহাত দেখাতে চাই না।
এর আগে ফেক ফিল্ডিং নিয়ে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেন, ‘ফেক ফিল্ডিং ঘটনাটা সত্যিকার অর্থে কেউ দেখেনি। আম্পায়াররা দেখেনি, ব্যাটাররা দেখেনি, এমনকি আমরাও দেখিনি। আইনের ৪১.৫ ধারায় ফেক ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান আছে (আম্পায়ারের কাছে ব্যাপারটি বোধগম্য হতে হবে)। কিন্তু কেউই তা দেখেনি। তাহলে আর কী করার আছে?’
ভোগলে বলেন, বাংলাদেশের লোকেরা যাতে অজুহাত না খোঁজে। তার ভাষ্য, ‘সুতরাং, বাংলাদেশের আমার বন্ধুদের প্রতি বলছি, জিততে না পারায় ফেক ফিল্ডিং ও ভেজা মাঠের অজুহাত খুঁজবেন না। যদি একজন ব্যাটারও শেষ পর্যন্ত থাকত, বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারত। আমরা সবাই এটার জন্য দোষী…যখন আমরা অজুহাত খুঁজব, বড় হতে পারব না।’