আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে পোল্যান্ডসহ সীমান্ত এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। এ অবস্থায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি।
প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। কেউ জানে না তাদের শেষ গন্তব্য কোথায়। তবু বেঁচে থাকার তাগিদে হেঁটেই সন্তানকে নিয়ে ছুটে চলছেন অসহায় এক মা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে হেঁটে এসেছি। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে এখানে অবস্থান করছি। আমার মতো অনেকেই প্রাণে বাঁচতে এখানে এসেছেন। কিয়েভে তারা বারবার বোমা হামলা চালাচ্ছে। তারা যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে আক্রমণ করতে পারে। আমি আর কিছু বলতে পারব না, আমি খুবই ক্লান্ত।’
রাশিয়ার একের পর এক বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। আর তাই জীবন বাঁচাতে পোল্যান্ডের সীমান্তে ভিড় করছেন ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকরা।
রুশ সেনাদের অভিযান থেকে বাঁচতে অনেকে আবার দেশ ছেড়ে পালাতে না পেরে আশ্রয় নিয়েছেন গির্জায়। পরিবার নিয়ে কোনো রকম বেঁচে থাকাটাই যেন এখন তাদের একমাত্র চাওয়া।
এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি শরণার্থীদের গ্রহণে এগিয়ে এসেছে জার্মানি। ইউক্রেনের নাগরিকদের জার্মানি প্রবেশে কোনো ভিসা লাগবে না বলে জানিয়েছে বার্লিন। সে লক্ষ্যে শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়শিবির নির্মাণের কথা জানিয়েছে জার্মান রেড ক্রস।
জার্মান রেড ক্রসপ্রধান ক্রিসটফ জোনেন বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমরা সীমান্ত অতিক্রম করা মানুষকে খাবার, পানি, স্যানিটাইজার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সত্যি বলতে, ইউক্রেনের যুদ্ধের গতিশীলতা দেখে আমরা এখনো নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না, আমরা কতজনকে আশ্রয় দিতে পারব। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।