জাতীয় ডেস্ক :
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন বাঁচাতে বড় আকারের পূর্বপ্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। নানা কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটতেই পারে, কিন্তু আমরা যদি নির্বাপণের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকি, দিন শেষে ক্ষয়ক্ষতি আমাদেরই হবে। আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে। নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেই হবে না। নির্বাপণ ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ও ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসসাব)-এর যৌথ উদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রফতানিখাত পোশাকশিল্পে কর্মীদের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে মানা হয়। যে নিরাপত্তা কমপ্লায়েন্স পোশাকশিল্প মানতে পারবে সেটা কেন সিটি করপোরেশন এলাকার বহুতল ভবনগুলো মানতে পারবে না? সবার জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সবাইকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’
এ সময় তিনি বহুতল ভবনগুলোর চাকচিক্যের পাশাপাশি বিল্ডিং কোড, ফায়ার সেফটিসহ অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত বিষয় গুরুত্বসহকারে নিশ্চিত করার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০ ফুটের কম প্রশস্ত রাস্তা হলে দুর্ঘটনা-পরবর্তী কার্যক্রম চালানো ব্যাহত হবে। কোনো ধরনের উদ্ধার সরঞ্জাম বা গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করতেই পারবে না। তাই ২০ ফুটের কম প্রশস্ত রাস্তা হলে সিটি করপোরেশন তা উন্নয়নের জন্য কোনো বরাদ্দ দেবে না।
আলোচনায় ডিএনসিসি মেয়র সব ভবনের পাশাপাশি যেকোনো অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় নির্দেশনা, ফায়ার সেফটি সম্পর্কে শিক্ষাসহ সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা শুরুর আগে এবং বিরতির সময় ফায়ার সেফটিবিষয়ক জনসচেতনতামূলক তথ্যচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
