জাতীয় ডেস্ক:
দীর্ঘ চার মাস ধরে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়ক সংস্কার করায় একের পর এক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন মাহফুজার রহমান। ‘তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় হাইওয়ে এখন মরণ ফাঁদ’ এই স্লোগান লেখা প্রতিবাদী ব্যানার গায়ে জড়িয়ে ঘুরেছেন প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা। তার এমন প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুল তলায় সাধারণ জনগণের পক্ষে সড়ক সংস্কারের নামে একের পর এক মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদী যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর তেঁতুলিয়া থেকে বিভিন্ন বাজারে অবস্থান নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পঞ্চগড় শহরে পৌঁছান।
প্রতিবাদী মাহফুজার রহমান পেশায় একজন টেকনোলজিস্ট। তিনি পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা ইউনিয়নের দর্জীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও একতা ক্লিনিকের পরিচালক।
এর আগে তেঁতুল তলায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সড়ক বিভাগ পঞ্চগড়ের আওতায় তেঁতুলিয়া- পঞ্চগড় হাইওয়ে সড়কে সংস্কারের নামে নিম্নমানের কাজ করছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। তাই আমার এই প্রতিবাদ যাত্রা।’
এ সময় মাহফুজার রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘এক সময় এই সড়কটি উন্নতমানের ছিল। এর মাঝে সড়ক বিভাগ নতুন করে সংস্কারের কাজ শুরু করে। তবে গত কয়েক মাস ধরে তাদের সংস্কার কাজের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এতে মানুষ মারাও যাচ্ছে।’
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নিম্নমানের কাজকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, ‘যদি সাধারণ মানুষ চুপ থাকে তবে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই বেড়ে যাবে। যেহেতু মানুষ প্রতিবাদ জানানোর সাহস পাচ্ছে না, তাই আমি নিজেই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। যাতে সড়ক বিভাগ এই নিম্নমানের কাজ বন্ধ করে উন্নতমানের কাজ শুরু করে। আমরা এখনি প্রতিবাদ না জানালে মৃত্যুর মিছিল আরও বেড়ে যাবে। তাই প্রতিবাদে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ করে প্রতিবাদ জানাতে হবে।’
এছাড়া উন্নতমানের সড়ক পাওয়ার আশায় নিম্নমানের কাজ বন্ধে সকলের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকা থেকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৫২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাজাহার এন্টারপ্রাইজ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু করে সড়ক সংস্কারের কাজ। আর গত চার মাসে সড়কটিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।