হোম অন্যান্যসারাদেশ পাথর কুড়ানো নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মারপিটের ঘটনায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পাথর কুড়ানো নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মারপিটের ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এরপর দুপুর দুটো থেকে আবারো শুরু বন্দরের অমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ কার্যালয়ে দুপুরে দুপক্ষের এক সমঝোতা বৈঠকের পর আবারো শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিকরা জানান, পাথর বোঝাই ভারতীয় ট্রাক ভোমরা স্থল বন্দরে প্রবেশের পর খারাপ রাস্তায় ট্রাক ঝাঁকুনিতে সড়কের উপর পড়ে পাথর কুড়িয়ে নেয় একটি চক্র। সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার পর ভালো রাস্তা থেকে সরিয়ে ভাঙাচোরা অংশ দিয়ে চালাতে বলে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল দল দুর্বৃত্ত। ভারতীয় ট্রাক চালক বাবলু সরদার রাজী না হওয়ায় তাকেসহ রাজু সরদার, প্রবীর সরদার, সত্য মন্ডল ও জহিরুলসহ আটজনকে মারপিট করা হয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি ট্রাক। এরই জেরে তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভোমরা বন্দরের শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পাথর কুড়ানোকে কেন্দ্র করে বচসার একপর্যায়ে ভারতীয় ট্রাক চালকরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, সোমবার রাতে ভারতীয় মালবোঝাই কয়েকটি ট্রাক পন্য খালাসের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ঢোকার পর সড়কের ওপর কিছু লোকজনের সাথে বচসা বাধে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্র্ষে ভারতীয় ৮ জন ট্রাক চালক আহত হন। এরই জের ধরে ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাসিরা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে। আইসিপি এলাকায় তারা বিক্ষোভ দেখায়। এতে বন্দরের সব ধরণের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর দুটোর দিকে উভয় দেশের সিএান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ভোমরা সিএন্ডএফ কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠক হয়। এ সময় ভারতীয় সিএন্ডএফ (কার্গো) নেতা সন্দীপ ঘোষসহ সেখানকার শুল্ক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে দুপুর দুটোর দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। এরপর আবারো শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন