কিশোর কুমার :
পাটকেলঘাটায় এক প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ভ্রাম্যমান চাঁ বিক্রেতা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় একাধিক সমাজ সেবক, স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনেরও দৃষ্টিতে আসলে সকলে তার পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় । সংবাদটি দেখে বসে থাকতে পারেনি পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ। তিনি শনিবার (৯মে) সকালে শিশুটিকে ও তার মাকে থানায় ডেকে তাদেরকে কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
সরজমিনে গিয়ে অনুসংন্ধানে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক রায়হান হোসেন জানান, থানার বলফিল্ড এলাকার আজহারুল গাজীর স্ত্রী তাসলিম বেগম পুত্র সেহাগ হোসেন (৭) কে নিয়ে আয়ুবআলীর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। আজহারুল গাজী ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতে গিয়ে সেখানে নতুন ভাবে জৈনেক মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তারপর থেকে তাসলিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে কোভিট-১৯ কারনে তারা খুবই অসহায় হয়ে পড়ে। তাই বাধ্যহয়ে হয়ে শিশুপুত্রটি চা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, শিশুটি পাটকেলঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র। গত কাল আমার সামনে দৃশ্যটি ধরা পড়লে দেখে এ নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করি । তারপর প্রতিবেদনটি দেখে সমাজের অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্য এগিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।