হোম অর্থ ও বাণিজ্য পাচার অর্থ ফেরাতে শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়া: গভর্নর

পাচার অর্থ ফেরাতে শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়া: গভর্নর

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 46 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের সম্পদ জব্দ হওয়াই প্রমাণ করে, দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফেরত আনতে শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার দুপুরে মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। গভর্নর বলেন, ব্যাংক একীভূত একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে কর্মীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

অর্থনীতির অবস্থা পর্যালোচনায় গঠিত শ্বেতপত্র কমিটির তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলাদের সংঘবদ্ধ চক্রের দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। এসব অর্থের বেশিরভাগ চলে গেছে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বিদেশ থেকে অর্থ ফিরিয়ে আনা এ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থপাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দেশ ও বিদেশে মামলা করতে পারে সরকার। তবে, কী ধরনের মামলা করা হবে এবং কীভাবে তা পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আউট অব সেটেলমেন্ট যদি যেতে হয় তাহলে সেটাও একটা প্রক্রিয়া। সেখানে তখন আইনজীবীরা আলাপ করবে। দুই পক্ষের মধ্যে আলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে পারে কিনা। সেটাও একটা প্রক্রিয়া। এ সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অপেক্ষাকৃত সহজ হলেও, অন্য দেশ থেকে এ প্রক্রিয়ায় পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধার করা কঠিন। তবে সব দেশের সাথেই আলোচনা চলছে।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, অর্থপাচারের বিষয় থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে সরাতেই, তাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমার ছেলে-মেয়েরা কি করছে, না করছে… তারা তাদের জীবন নিয়ে থাকবে। বাড়ি কিনবে না, গাড়ি কিনবে, কোন দেশে থাকবে সেটা তাদের ব্যাপার। এটা আমার কোনো ব্যাপার নয়। কাজেই পুরো বিষয়টিই অযাচিত চর্চা। এটাতে আমাদের যাওয়াই উচিত নয়। যদি কোনো প্রমাণ থাকে যে আমি একটা ডলার পাঠিয়েছি, আপনারা প্রমানটা নিয়ে আসেন।’

এ সময় গভর্নর বলেন, ব্যাংক একীভূত হলে ব্যাংকের অনেক শহরের শাখা বন্ধ হলেও, গ্রামে নতুন শাখা চালু হবে। ফলে, কর্মসংস্থানে কোনো সংকট হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন