হোম আন্তর্জাতিক পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ১৮০ জনের মৃত্যু, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ১৮০ জনের মৃত্যু, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 52 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই টানা বৃষ্টি ও বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) শনিবার (১৯ জুলাই) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধু প্রদেশে বৃষ্টি, দমকা হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে চলতি বর্ষা মৌসুম গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায়, জাতীয় ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী দিনগুলোতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

এনডিএমএ’র ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) সিন্ধুর নিচু এলাকাগুলোর জন্য নগর প্লাবনের সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের প্রবল বৃষ্টির সময় ঘরের ভিতরে অবস্থান করতে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ এড়াতে এবং ঘরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে পরিষ্কার রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত চতুর্থ দফা সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পাঞ্জাবের অধিকাংশ জেলায় ঝোড়ো হাওয়া, ধুলিঝড় এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পিডিএমএ আগামী ২২ জুলাই থেকে আসন্ন আবহাওয়া ব্যবস্থার কারণে পাঞ্জাবের প্রধান নদ-নদী ও তাদের উপনদী এবং নিচু এলাকায় সম্ভাব্য প্লাবনের জন্য উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে।

এছাড়া খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বর্ষা ও হিমবাহ গলে হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এনডিএমএ পাহাড়ি ও উঁচু অঞ্চলগুলোতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে।

ইসলামাবাদ ও মধ্য পাঞ্জাবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর রাওয়াল ড্যাম ১,৭৪৮ ফুট পূর্ণক্ষমতায় পৌঁছেছে। শনিবার সকাল ৬টায় স্পিলওয়ে খোলার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যাতে পানি স্তর কমানো যায়। আশপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পাঞ্জাবে ২৫ জুন থেকে বৃষ্টি ও বন্যা-সম্পর্কিত ঘটনায় ১,৫৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমারজেন্সি সার্ভিস বিভাগের সেক্রেটারি ডা. রিজওয়ান নাসের। এর মধ্যে ৪৪৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই জরাজীর্ণ ভবন ধসে মারা গেছেন।

২৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত ৩৬৯টি ভবনধস, ২৩টি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, ৬২টি বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনা ও অন্যান্য বেশ কিছু জরুরি অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানান ডা. নাসের।

এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম চাকওয়াল সফরে গিয়ে নিহতদের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।

তিনি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগের ঝুঁকির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং হিমবাহ গলে যাওয়াকে দায়ী করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন