খেলাধূলা ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচামরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায়। বেশ কয়েকটি কারণে এ ম্যাচে টাইগার একাদশে আসতে পারে বড় পরিবর্তন।
দলের সেরা ব্যাটসম্যান লিটন দাস হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। এদিকে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পেছনে লিটন ছাড়া অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের দায় রয়েছে।
তবে ওই ম্যাচটিতে টিম ম্যানেজম্যান্টও দায় এড়াতে পারে না। কারণ তারা ৪ পেসার দিয়ে দল সাজিয়ে বাঁ-হাতি পেসার শরিফুলকে খেলান। আর শরিফুলের আলগা বোলিংও এই ম্যাচে বাংলাদেশের ডুবে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
ভারতের বিপক্ষে তাসকিন ৪ ওভারে ১৫, মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩১ আর হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪৭ (সঙ্গে ২ উইকেটও নিয়েছেন) দিয়েছেন। কিন্তু শরিফুলের ৪ ওভারে ৫৭ রান উঠেছিল। অর্থ্যাৎ ৪ পেসারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছে শরিফুল!
টিম ইন্ডিয়ার লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব, দিনেশ কার্তিক এবং হার্দিক পান্ডিয়া- সবাই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাই হয়তো ওই ম্যাচে একজন বাড়তি বাঁ-হাতি বোলার খেলানো হয়েছে। কিন্তু সেটা পেসার শরিফুল না হয়ে স্পিনার নাসুম আহমেদ হলে ক্ষতি হতো না!
স্পিনে ভারতীয়রা অনেক দক্ষ হওয়ায় হয়তো নাসুমও সুবিধা করতে পারতেন না। কিন্তু তারপরও শরিফুলের মতো ওভার প্রতি ১৪.২৫ রান হয়তো দিতেন না। তাই এখন প্রশ্ন, পাকিস্তানের বিপক্ষে শরিফুল কি খেলবেন? ভারতের মতো পাকিস্তানের প্রথম ৬ ব্যাটারের মধ্যে সান মাসুদ ছাড়া রিজওয়ান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হারিস, ইফতেখার ও শাদাব খান- সবাই ডানহাতি।
তাই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাড়তি বাঁ-হাতি বোলার খেলানোর যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না। জানা গেছে, এ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টও কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। এক্ষেত্রে শরিফুলের পরিবর্তে বিকল্প মেহেদি হাসান মিরাজ। ভিন্ন ফরম্যাটে হলেও ২০১৯ সালের ৫ জুলাই ইংল্যান্ডের লর্ডসে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ মাপা বোলিং (১০ ওভারে ৩০ রানে ১ উইকেট) করেছিলেন তিনি।
কিন্তু পাকিস্তানের লাইনআপে বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই ডানহাতি। তাই ডানহাতি অফস্পিনার মিরাজকে না খেলিয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুমকে খেলানোর কথাও নাকি ভাবা হচ্ছে। একইভাবে নিজেকে একদমই মেলে ধরতে না পারা ইয়াসির আলী রাব্বির পরিবর্তে সৌম্য সরকারের অন্তর্ভুক্তির চিন্তাভাবনাও আছে।
তাই সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে শরিফুলের বদলে নাসুম আর ইয়াসির আলীর জায়গায় সৌম্য সরকারের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।