আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে আরও এক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী জার্মানিসহ ইউরোপের তেলের বাজার।
সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি স্পষ্ট করেন কমিশনের প্রেসিডেন্ট। তবে হাঙ্গেরিতে অব্যাহত থাকবে রাশিয়ার তেল সরবরাহ।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ইইউর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি রাশিয়া। সোমবার ষষ্ঠবারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ নতুন করে আরও একবার নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে জার্মানিসহ ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জ্বালানি তেলের দর যেন পাগলা ঘোড়া। রাশিয়া থেকে আমদানি করা ডিজেল, পেট্রল কিংবা অকটেন ও অপরিশোধিত প্রায় সব তেলেই প্রতি ব্যারেলে হঠাৎ করে বেড়েছে ৩-৬ শতাংশ দাম, যা মার্চের পর থেকে নতুন রেকর্ড।
এদিন ইইউ পার্লামেন্টে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। এ সময় ২০২২ সালের মধ্যেই রাশিয়ার তেলের ওপর থেকে ইইউর নির্ভরতা ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার বিষয়েও খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়টিও গণমাধ্যমে জানানো হয়।
তারা বলেন, ‘রাশিয়ার তেলের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানো সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কতটা কঠিন। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেবে আসছি কীভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়। তবে ইউক্রেনের বিরোধিতার কারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরিই হয়েছে।’
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতিবেশী ইইউ সদস্যভুক্ত দেশ হাঙ্গেরি জানায়, ৬০ শতাংশ তেল ও ৮৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস তারা রাশিয়া থেকে সরবরাহ করে থাকে। এতে ইইউর পরিকল্পনা অনুযায়ী আমদানি রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই রাশিয়া থেকে জাহাজের বদলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহে কিছুটা নমনীয়তা দেখায় ইইউ।
এর আগে রাশিয়ার জ্বালানি ও ভোজ্যতেলসহ গ্যাস সরবরাহে দেশটির বিরুদ্ধে নানামুখী নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউসহ ন্যাটোভুক্ত ত্রিশ দেশ। বিপরীতে ইউরোপের গ্যাসের পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে কঠিন সংকটে ফেলে দেয় মস্কো। কিন্তু নতুন করে ইইউর এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকেও বিপদে ফেলতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
