হোম অন্যান্য নির্বাচনের পরেও বিচারকাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ও রোডম্যাপ চান নাহিদ

নির্বাচনের পরেও বিচারকাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ও রোডম্যাপ চান নাহিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 10 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
নির্বাচনের পরেও জুলাই হত্যা মামলাসহ ১৫ বছরে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতন, গুমের সব মামলার বিচারকাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ও রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব‍্যুনালে সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাজির হয়েছিলেন নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার অপর সাক্ষীর জেরাতে সময় লাগতে পেরে জেনে ফিরে গেছেন তিনি।

সাক্ষ‍্য না দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই মামলার রায় হলে রাজনৈতিকভাবে ন্যায়বিচার পাবো। তবে গত ১৫ বছরল সারাদেশে গণহত্যা ও নির্যাতন নিপীড়ন, গুমের যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোর বিচার অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচনের পরেও যেন বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয় সেই প্রতিশ্রুতি ও রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছি সরকারের কাছে। রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যনালের বিচার কাজে সন্তুষ্ট। আশা করি, দ্রুত সময়ে ন্যায়বিচার পাবো।’

মামলার আসামিদের দেশে ফিরিয়া আনা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতে হবে ফিরিয়ে আনতে। রায়ের পরে হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে শাস্তি প্রদান করা তখন যেকোনও সরকারের দায়িত্ব, আইনিভাবেই।

এদিন ট্রাইব্যুনালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করছেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এর আগে গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

ওইদিন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।’

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ গঠনের সময় মামুন এসব কথা বলেন।

একইদিন এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন