হোম জাতীয় দেশে ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা

দেশে ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ৯ এপ্রিল বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠেয় ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণকারীরা এ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করেই সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সম্মেলনের কার্যক্রম।

২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়। তবে দেশব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স নিতে হবে।

রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ জানান, স্টারলিংককে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে তাদের আর কোনো বাধা থাকবে না।

ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এই সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে সেবা চালুর কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। সে সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বৈঠকও হয়। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক ছিল বলে জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এ বিষয়ে অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বিডার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কলে ইলন মাস্কের সঙ্গে স্টারলিংকের প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।

গত মাসে ঢাকায় স্টারলিংকের মাধ্যমে আবারও পরীক্ষামূলক ইন্টারনেট চালানো হয়, যেখানে ডাউনলোড গতি পাওয়া যায় ২৩০ এমবিপিএস। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তখন বিদেশি স্যাটেলাইট গেটওয়ে ব্যবহৃত হলেও ভবিষ্যতে দেশীয় গেটওয়ে ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকবে।

বিটিআরসি সম্প্রতি এনজিএসও নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে, যাতে সাইবার নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করার ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় স্টারলিংকের প্রথম বাণিজ্যিক সেবা চালু হয়েছে ভুটানে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতেও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। এতে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমে যাবে এবং তরুণেরা গ্রাম থেকেই ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পেশায় যুক্ত হতে পারবেন।

দুর্যোগের সময় জরুরি যোগাযোগ স্থাপনেও স্টারলিংক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন