হোম আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের আহ্বানের পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে

ট্রাম্পের আহ্বানের পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 34 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আহ্বানের পরও শনিবার (৪ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, তারা দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। গামাসের এই ঘোষণার পরই প্রেসিডেন্টের এমন আহ্বান আসে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন ঘটনায় হতাহতের এসব ঘটনা ঘটেছে। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ ১৮ জন নিহত হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলায় আশেপাশের বেশ কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ওই এলাকায় তাদের সেনাদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা এক হামাস যোদ্ধাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, এবং হতাহতের রিপোর্টগুলো পর্যালোচনাধীন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “অবাঞ্ছিত বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমরা দুঃখিত এবং এমন ক্ষতি কমাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি।”

হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেছে, “দখলদার বাহিনীর চলমান বোমাবর্ষণ ও গণহত্যা নেতানিয়াহুর মিথ্যা প্রকাশ করে দিচ্ছে যে তিনি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান কমিয়েছেন।”

আগামী সপ্তাহে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার কথা। শনিবার ট্রাম্প নিজের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে বলেন, ইসরায়েল গাজার ভেতরে প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যখন হামাস নিশ্চিত করবে, যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

ট্রাম্প লেখেন, “আমি কোনো বিলম্ব সহ্য করব না, যদিও অনেকে মনে করছেন তা ঘটবে, কিংবা এমন কোনো ফলাফল মেনে নেব না যেখানে গাজা আবার হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। চলুন দ্রুত এটি শেষ করি। সবাই ন্যায্য আচরণ পাবে!”

শুক্রবার হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কয়েকটি মূল অংশ মেনে নেওয়ার কথা জানায় — যার মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত।

তবে সংগঠনটি কিছু বিষয় নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যেমন তারা নিরস্ত্র হতে রাজি কি না — যা যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের প্রধান দাবি।

শনিবার পরে ট্রাম্প লেখেন, “আলোচনার পর ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে।”

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি এবং দেশটি সেনা প্রত্যাহারে বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি। হামাসও কোনও মন্তব্য করেনি।

মিশর সোমবার ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন