ঝিনাইদহ অফিস :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে কতিপয় কিছু প্রভাবশালীরা গ্রামের ছোট/বড় কিছু ইস্যু নিয়ে তাদের বিচার করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে, গত সোমবার (৫জুলাই) বাগুটিয়া পশ্চিম পাড়ার মোঃ হাকিম বিশ্বাসের প্রবাসী ছেলের স্ত্রী,মা ও বড় ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গরু ঠিকঠাক ভাবে আছে কি না দেখার জন্য গোয়াল ঘরে যায়।
এসময় গোয়াল ঘরের পাশে কেউ ওৎ পেতে আছে অনুভব করে তারা চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের শাহাজান মালিতার ছেলে হযরত পালিয়ে গেলো বলে তাদের কাছে চিহ্নিত হয়।
উল্লেখ্যঃ ইতিপূর্বে প্রবাসী সাহেব আলীর স্ত্রীর কাছে মোবাইল না থাকায় তার সাথে কথা বলার জন্য ঘরের জানালা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন রেখে যায় এই হযরত। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং ঐ সময় থেকেই পাড়ার লোকেদের মাঝে হযরত ও প্রবাসী সাহেব আলীর স্ত্রীর মধ্যে পরকিয়া সম্পর্ক আছে বলে তাদের মনে বাসা বেঁধে থাকে।
এজন্য গত (৫জুলাই) সোমবার রাতে গোয়াল ঘরের পাশে “হযরত” কেনো বসে ছিলো ? সে কথা বুঝতে আর কোন সমস্যা হয়নি বলে এলাকাবাসী সংবাদকর্মীদের জানান।এলাকাবাসী এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হযরত ও প্রবাসীর স্ত্রীর এ ঘটনা একদিনের না, এটা দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। এলাকাবাসী আরও বলেন, জানালা দিয়ে মোবাইল রাখার ঘটনাটি ঐ সময় পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল।
জানালা দিয়ে মোবাইল রাখার ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হলেও এবারের বিষয় নিয়ে অনেক চাপের মুখে আছেন প্রবাসী সাহেব আলীর পিতা হাকিম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ঘটনার পর গ্রামের মাতব্বর চান্দালী, আবু জাফর, বল্টুসহ আরো অনেকে মঙ্গলবার সকালে আমার বাড়িতে এসে বিচার না করে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা দাবি করে।
এছাড়াও তিনি বলেন, টাকা না দেওয়া হলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে যায় ঐ সকল মাতব্বরেরা। হাকিম বিশ্বাস বলেন, তাদের হুমকিতে সে এখন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে মাতব্বর চান্দালী বলেন, আমরা বিষয়টি শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তবে টাকার বিষয়ে কোন কথা হয়নি। চান্দালী প্রবাসী সাহেব আলীর বাবা হাকিম বিশ্বাসকে দোষারোপ করে আরও বলেন, এধরনের কাজ ইতিপূর্বে তারা আরো ঘটিয়েছে, আমরা গ্রামবাসী বিচারের জন্য বসবো।
এই বিষয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলেন, বাগুটিয়া গ্রামে বিচার/শালিশ করার নামে নিরব চাঁদাবাজি চলছে, এ বিষয়ে কথা বলা মুশকিল।
স্থানীয় নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সাইফুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি তবে কেউ এখনও অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।