রাজনীতি ডেস্ক:
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রেজনুর (ঈগল) সমর্থকরা ডিক্লেয়ার দিয়ে মাঠে নেমে মারামারি করতে চান নৌকা মার্কার প্রার্থী মো.আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের সঙ্গে। নৌকা মার্কার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেয়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেনের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকের মেসেঞ্জার ও হায়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটাররা অতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
এই আসনে নৌকার প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রেজনুসহ মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নৌকা ও ঈগল মার্কার মধ্যেই মূল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সময় যতো ঘনিয়ে আসছে এই আসনে নির্বাচনের দিন সংঘর্ষের আশঙ্কা ততই বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের সমর্থকরা নৌকা মার্কার সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। এই আসনে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের তমালতলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের সমর্থকরা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। ওই মানববন্ধনে জামালপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক নূর হোসেন একটি বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নূর হোসেন বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে চলে আসেন। আর যদি গুণ্ডামি করতে চান। তাহলে আপনাদের আমরা ডিক্লেয়ার দিতে চাই। চলেন মাঠে নামি। আপনারা এক সাইডে থাকবেন আর আমরা সাইডে থাকবো। মেয়াদ উত্তীর্ণ মদ খাইয়ে হিরোইনচি দিয়ে, আমাদের কেন্দ্র ভাঙচুর করাবেন। আমাদের জীবননাশের হুমকি দেবেন। এসব গুণ্ডামি জামালপুরে চলবে না। কাউকে হুমকি ধমকি দিয়ে এবং শরীরে আঘাত করে, ঝগড়া বাঁধাতে যাবেন না। তার পরিণাম ভালো হবে না।’
নৌকার প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। নির্বাচনের মাঠে পক্ষ-প্রতিপক্ষ থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটারদের মন জয় করার প্রতিযোগিতা থাকবে। তাই আমি দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছি। কারণ আমি ভোটারদের মন জয় করেই নির্বাচিত হতে চাই। আমি এবং আমার সমর্থকরা কখনও উসকানিমূলক বক্তব্য দেইনি। অথচ নিজের জনপ্রিয়তা না থাকায় মাঠে ঘোষণা দিয়ে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরিতে লিপ্ত আছে-একটি পক্ষ (স্বতন্ত্র)। তারা (স্বতন্ত্র) প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তারা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে। এতে সাধারণ ভোটাররা কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।’