আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) একটি ‘অজ্ঞাতনামা ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ‘দাঁতভাঙ্গা’ সামরিক জবাব দেয়ার ব্যাপারে পিয়ংইয়ং সতর্ক করে দেয়ার পর তারা এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো। সম্প্রতি একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে এটি ছিল তাদের সবশেষ উৎক্ষেপণ। খবর এএফপি’র।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪৮ মিনিটের দিকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর ওনসান থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগরে একটি অজ্ঞাতনামা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।’ এটি জাপান সাগর নামে পরিচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটির সমস্ত তথ্য এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে জাপান এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ক্ষেপণাস্ত্র যে ছোড়া হয়েছে, তা জাপানের পক্ষেও জানানো হয়েছে।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো নিয়ে আলোচনা করেন।
উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করায় এক্ষেত্রে দেশটির লাগাম টেনে ধরতে প্রভাব খাটাতে মার্কিন নেতা চীনকে চাপ দেন। এদিকে পিয়ংইয়ং খুব শিগগিরই তাদের সপ্তম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, উত্তর কোরিয়ার অবৈধ গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ব্যালাস্টি ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির হুমকি মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে বাইডেন গত রোববার (১৩ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ি সন হুই এই আলোচনার সমালোচনা করে বলেছেন, তারা কোরীয় উপদ্বীপ পরিস্থিতিকে একটি অনিশ্চিত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বিবৃতি দেয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
সেজং ইনস্টিটিউটের গবেষক চিয়ং সিয়ং-চাং এএফপি’কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে বার্তা দিতেই ওই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।