হোম জাতীয় চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা মামলার রায় পেছাল

জাতীয় ডেস্ক :

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার কেস ডকেটের (মামলার যাবতীয় তথ্যের সংরক্ষিত নথিপত্র) খোঁজ না মেলায় মামলা বিচারের জন্য এখনো প্রস্তুত হয়নি। এ জন্য মামলার শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২ জুন তৎকালীন ডিবির এসআই ফরিদ উদ্দিন কেস ডকেট গ্রহণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে কেস ডকেটের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ দেন।

পরে ২৭ এপ্রিল চকবাজার থানার সাবেক পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জানান, তিনি যেদিন কেস ডকেট গ্রহণ করেছেন, সেদিনই তৎকালীন ডিবির ডিসি শহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু শহিদুল ইসলাম ওই কেস ডকেটের ব্যাপারে আর কিছুই জানেন না।

আজ ট্রাইব্যুনালে ফরিদ উদ্দিন হাজির হন। এসময় তিনি কেস ডকেটের কোনো খোঁজ পাননি বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান। এরপর ট্রাইব্যুনাল নতুন তারিখ ধার্য করেন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ক্লাব ট্রাম্পসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামও ছিল। অন্য আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আশিষ চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আদনান সিদ্দিকী, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও ফারুক আব্বাসী।

এ মামলায় আশিষ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল। আর কারাগারে রয়েছেন আসামি তারিক সাঈদ মামুন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। আসামি ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনোরকম পদক্ষেপ ছাড়া কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতানি পরোয়ানা জারি হয়।

পরে গত ৬ এপ্রিল রাতে র‌্যাব গুলশানে অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।

এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেফতানি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এ মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।

এ মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের পর আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেন এবং এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন