জাতীয় ডেস্ক :
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে হঠাৎই গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ছুটির দিন হলেও নানা কাজে বাইরে বেরিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি এবং একদিনে ২৬টি সরকারি চাকরি পরীক্ষা থাকার সুযোগে ছোট যানবাহন ভাড়া বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এদিকে, সামান্য ইস্যুতে বারবার জনভোগান্তির কর্মসূচি দেওয়ায় সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ধামরাইয়ের চাকরিপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কৃষি অধিদপ্তরের চাকরির পরীক্ষা থাকায় বের হয়েছেন আগেভাগেই। নানা ভোগান্তি সয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসলেও গণপরিবহনের অভাবে কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় আমার পরীক্ষা পড়েছে আগারগাঁওয়ে। ধামরাই থেকে ভোরে রওয়ানা দিয়েছিলাম। কিন্তু গাবতলী এসে আর গাড়ি পাইনি। বাস শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। আমার জীবন তো শেষ! কে এর দায় নেবে?
শরিফুলের মতো নানা কাজে যারা বাইরে বেরিয়েছেন গণপরিবহন না পেয়ে পথে পথে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাজধানীর টার্মিনালগুলো থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। ঢাকার বাইরে থেকে ঢোকেনি কোনো পরিবহন। টার্মিনালে গিয়েও বিপাকে পড়েন অনেকে।
এদিকে রাজধানীর ভেতরেও মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। গণপরিবহন না থাকায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দখলে নেয় রাজপথ। বাস না থাকার সুযোগে ভাড়া হাঁকা হচ্ছে কয়েকগুণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খলার ফলেই মালিক শ্রমিকরা ঘোষণা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনার পরামর্শ তাদের।
ভোগান্তি দূর করতে যত দ্রুত সম্ভব গণপরিবহন স্বাভাবিক করার দাবি সাধারণ মানুষের।
